নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়াণগঞ্জের বন্দর উপজেলার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকায় দুই নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে তিনটি ব্যাটারির দোকানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে, নিহত দুই নৈশ প্রহরীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা ও নিহতদের পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন। তবে পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ডাকাতদের শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার ভোরে উপজেলার মদনগঞ্জ-ঢাকা সড়কের উত্তর লক্ষণখোলা বাজারে প্রতিদিনের মতো রাতে দায়িত্ব পালন করছিলেন নৈশপ্রহরী রায়হানউদ্দিন ও মোতালেব। গভীর রাতে ১৫/১৬ জনের একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৈশপ্রহরীদের উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রায়হানউদ্দিন এবং গুরুতর আহত হন মোতালেব মিয়া। ভোরে বৃদ্ধ মহিলা ঝাড়–দার বাজার দিতে এসে দুইজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীকে জানায়। পরে এলাকাবাসী এসে গুরুতর অবস্থায় মোতালেব মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ডাকাতরা তিনটি দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি করে বিভিন্ন ধরণের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালামসহ বন্দর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সকাল থেকেই শত শত এলাকাবাসী এসে ভীড় জমান সেখানে।
এ ঘটনায় দোকানগুলোতে থাকা প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে দাবী করছেন দোকান মালিকরা। এলাকাবাসী অভিযোগ, রাতে টহল পুলিশের কোন নজরদারি না থাকায় ঢাকা-মদনগঞ্জ সড়কের মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়ায় নিয়মিত চুরি ডাকাতিসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে চলছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহীন মন্ডল জানান, এলাকার বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ডাকাতদের শনাক্ত করাসহ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।##